বাংলাদেশের রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশের রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক প্রবাহ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংযোজনের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২০.৪২ বিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৪.৯৯ বিলিয়ন ডলার। গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার। তবে দেড় মাসের মধ্যে রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের ডিসেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম এবং প্রবাসীদের সচেতন প্রচেষ্টার ফলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
রিজার্ভের বিভিন্ন ধরণ
- মোট রিজার্ভ: বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ সমস্ত সম্পদ।
- আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি: যেখানে বৈদেশিক ঋণ বা তহবিল বাদ রাখা হয়।
- ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ: বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। যা দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে চার মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ ধরে রাখতে সক্ষম।